সবজির জন্য বিখ্যাত উপজেলা চন্দনাইশ। সারা বছরই বিভিন্ন সবজির আবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করেন এ উপজেলার চাষিরা। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছে এখানকার সবজি।
বুধবার ( ৮ জানুয়ারি) সকালে দোহাজারী সাঙ্গু নদীর চরে কৃষকদের কৃষি কাজ করতে দেখা গেলেও হতাশায় দিশেহারা কৃষক।
উপজেলাটিতে প্রতিবছরের মতো এ বছরেও ব্যাপক পরিমাণে সবজির চাষ হয়েছে।
এখাকার উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত করা হয়। কিন্তু বর্তমানে সবজির দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন চাষিরা। পরিবহন ও শ্রমিক মজুরি টাকাও উঠছে না সবজি বিক্রি করে।
মূল্য না পাওয়ায় অধিকাংশ সবজিই নষ্ট হচ্ছে জমিতে। চাষিরা বলছেন, বাজারে দাম নেই, পাইকারি ব্যবসায়ীরাও আসছেন না। জমিতে নষ্ট হচ্ছে মুলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি।
কৃষক আব্দুল গফুর জানান, সবজি চাষের খরচের তুলনায় দাম কম। এতে অধিকাংশ কাঁচামাল নষ্ট হয়ে লোকসানে রয়েছেন বিক্রেতারা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেচাকেনা করেও মিলছে না স্বল্প টাকাও। বাজারে সবজির দামও কমেছে, ক্রেতার সংখ্যা ও কমেছে। এতে নষ্ট হচ্ছে সবজি। লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের।
অন্যদিকে গ্রামের তুলনায় শহরের বাজার দামে বিশাল ব্যবধান, গ্রামে কৃষকের কাছ থেকে কেনা ৩টাকার মুলা শহরের বাজারে ৩০টাকা। কৃষক ও ভোক্তাদের মাঝখানে সুবিধা ভোগ করছে মধ্যস্থ ব্যবসায়িরা।