

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় স্বামীর বিরুদ্ধে গর্ভবতী স্ত্রীর পেটে লাথি মেরে গর্ভের সন্তান গর্ভপাত ঘটনোর অভিযোগে ঘাতক স্বামী মোঃ আয়াতুল রশীদ(৩২)সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনসহ ৫ জন’কে আসামী করে দীঘিনালা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী।
থানায় মামলা দায়েরর পর মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ঘাতক স্বামী মোঃ আয়াতুল রশীদ(৩২)কে রাতে গ্রেফতার করে দীঘিনালা থানা পুলিশ। তিনি উপজেলার ২নং বোয়ালখালী ইউনিয়নের নোয়াখালী টিলা পাড়ার মৃত হারুনুর রশীদের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১২ বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় আঁখি আক্তার(৩০)। তাদের দাম্পত্য জীবনে আব্দুল মোত্তালিব (১২) ও জান্নাতুল আশিকা (৭) নামের দুটি সন্তান রয়েছে।
আখিঁ আক্তার বর্তমানে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন । ৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে তাহার স্বামী আয়াতুল রশীদ বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। স্বামীর অত্যাচারে সুখের আশায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা যৌতুক হিসবে প্রদান করেন স্বামী’কে।
মামলার বিবাদীর স্বামী আয়াতুল রশীদ গত ৮ জানুয়ারি ১ম স্ত্রীর অনুমতি ব্যতিত গোপনে দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ব হয় বলে জানান।
গোপনে বিয়ের পর ১৬ জানুয়ারী দ্বিতীয় স্ত্রী’কে বাসায় আনা হলে, এ নিয়ে পারিবারিক বিরোধের সূত্রপাত। এক পর্যায়ে ১ম স্ত্রী আঁখি আক্তারকে মারধর শুরু করে, এসময় পেটে লাথি মারে পাষান্ড স্বামী এতে করে রক্তপাতের পর অচেতন হয়ে পড়েন আঁখি আক্তার। পরে দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে ডাক্তারি পরিক্ষা-নিরিক্ষা করে ডাক্তার আশুতোষ চাকমার রির্পোট অনুযায়ী পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জাকারিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অন্তঃসত্ত্বা নারীকে নির্যাতনের ঘটনায় দীঘিনালা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধিত/২০২০) এর ১১(খ)/১১(গ)/৩০ তৎসহ ৩১৩ পেনাল কোড, ১৮৬০ একটি মামলা রুজু হয়েছে। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার ১নং আসামী আয়াতুল রশীদকে আটক করে।
এ ব্যাপারে আসামি পক্ষের সাথে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।