

জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে তৈরি উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি শহরে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। এই হামলার পর দুদেশের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতাদের প্রতিশোধের ঘোষণার পাশাপাশি মুখ খুলেছেন শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিকস টাইমস জানিয়েছে, পাকিস্তানে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুরের’ কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশটির জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিরা খান এবং হানিয়া আমির। এছাড়াও অন্য অনেক অভিনেতা ও ক্রিড়া তারকারাও ভারতের হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাকিস্তানি চলচ্চিত্রের অন্যতম মুখ মাহিরা খান লেখিকা ফাতিমা ভুট্টোর একটি টুইট শেয়ার করে তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লেখেন, ‘কাপুরুষতা!!! আল্লাহ আমাদের দেশকে হেফাজত করুন, বোধোদয় হোক। আমিন।’
অন্যদিকে, তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হানিয়া আমিরও ইনস্টাগ্রামে সংক্ষিপ্ত কিন্তু তীক্ষ্ণ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, ‘Cowardly’ অর্থাৎ ‘কাপুরুষতা।’
এই প্রতিক্রিয়া তখনই আসে যখন পাকিস্তানি সেলিব্রিটিদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ভারতে জিও-ব্লক করে দেওয়া হয়। পেহেলগামে ২২ এপ্রিলের সন্ত্রাসী হামলার পর এই পদক্ষেপ নেয় ভারত সরকার। খবরে বলা হয়, ভারত সরকারের পদক্ষেপের ফলে মাহিরা খান, ফাওয়াদ খান এবং গায়ক আলি জাফরের মতো তারকাদের অ্যাকাউন্ট ভারতে প্রবেশাধিকার সীমিত হয়ে গেছে।
ভারত সরকার অবশ্য সামরিক অভিযানের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। সরকারি সূত্রের দাবি, রাতের অন্ধকারে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে পরিচালিত এই হামলাগুলো শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামোর ওপর চালানো হয়েছে। এসব হামলার মাধ্যমে সীমিত পরিসরে প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে, কোনো বড় ধরনের যুদ্ধ উসকে দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল না।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক অফিসিয়াল বার্তায় বলা হয়, ‘বিচার প্রতিষ্ঠিত হলো। জয় হিন্দ।’ পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু ও বান্দি সঞ্জয় কুমার সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, পেহেলগামে নিহতদের রক্তের বদলা নেওয়া হয়েছে।
ভারত সরকার দাবি করছে, অপারেশন সিঁদুরের আওতায় পিওকে এবং পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে অবস্থিত সন্ত্রাসবাদী শিবিরগুলিতে নিখুঁত হামলা চালানো হয়েছে। এই সামরিক পদক্ষেপ ছিল নির্ভুল, পরিমিত ও অ-উত্তেজনামূলক এবং এতে কোনো পাকিস্তানি সেনা স্থাপনাকে লক্ষ্য করা হয়নি। উত্তেজনা বাড়ানো এ অভিযানের লক্ষ্য ছিল না।