জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি শায়খুল হাদীস আল্লামা আব্দুর রহীম ইসলামাবাদী বলেছেন, “আমরা পিআর (প্রত比例িক প্রতিনিধিত্ব) নয়, বিদ্যমান পদ্ধতিতেই নির্বাচন চাই। কারণ জমিয়ত জনসম্পৃক্ত একটি দল।”
শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকাল ৩টায় জগন্নাথপুর পৌর শহরের আব্দুস সামাদ আজাদ অডিটোরিয়ামে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, যুব জমিয়ত ও ছাত্র জমিয়তের উপজেলা কাউন্সিল এবং কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাফিজ সৈয়দ ওযায়রুল হক মমনু এবং সঞ্চালনা করেন মাওলানা এরশাদ খান আল হাবিব ও মাওলানা শাহীনুর রহমান শাহীন।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, “বিএনপির কাছে সুনামগঞ্জ-৩ আসন আমাদের ন্যায্য দাবি ও প্রাপ্য। আজকের বিশাল কর্মী সমাবেশ প্রমাণ করে, জমিয়ত এই আসনে আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।”
বিশেষ অতিথি মুফতি জাকির খান বলেন, “সুনামগঞ্জ-৩ আসনে তালহা আলমের মাধ্যমে ধানের শীষ উদ্ধার করবো ইনশাআল্লাহ। বিএনপি জোটকে বিজয়ী করবো।”
প্রধান বক্তা তালহা আলম বলেন, “নির্বাচন আসবে যাবে, তবে জমিয়তের সাদা-কালো পতাকা আরো উঁচুতে তুলতে হবে। সবাইকে সংগঠনের প্রশিক্ষণ নিয়ে আল্লাহর জমিনে কাজ করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শায়খ আব্দুস শহীদ জামালাবাদী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জাকির হোসাইন খান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ওয়ালি উল্লাহ আরমান, মাওলানা জয়নাল আবেদীন, হাফিজ রশিদ আহমদ, শান্তিগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মাওলানা হোসাইন আহমদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
কাউন্সিলে নতুন কমিটি ঘোষণা
কাউন্সিল শেষে তিনটি শাখার নতুন ৪১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।
উপজেলা জমিয়ত:
সভাপতি: হাফিজ সৈয়দ ওযায়রুল হক,
সাধারণ সম্পাদক: মাওলানা এরশাদ খান আল হাবিব,
সাংগঠনিক সম্পাদক: মাওলানা এম শাহীনুর রহমান,
প্রচার সম্পাদক: লিটন মিয়া।
যুব জমিয়ত:
সভাপতি: মাওলানা সুজাদ আলী,
সাধারণ সম্পাদক: আক্তার হোসেন,
সাংগঠনিক সম্পাদক: সোলেমান পারভেজ।
ছাত্র জমিয়ত:
সভাপতি: সৈয়দ একরামুল হক,
সাধারণ সম্পাদক: হাফিজ আনহার উদ্দিন,
সাংগঠনিক সম্পাদক: হাফিজ জাভেদ আহমেদ।
অডিটোরিয়ামের ধারণক্ষমতা ছাড়িয়ে বিপুল কর্মী-সমাগমে জমজমাট হয়ে ওঠে কাউন্সিল এবং কর্মীসভা। জমিয়তের স্লোগানে মুখরিত ছিল পুরো অনুষ্ঠানস্থল।
