

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়নে মঞ্জুর আলম (২৫) নামের এক রাবার শ্রমিক “জিরো হার্ব” নামের কীটনাশক সেবনের পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বাইশারী ইউনিয়নের নারিচবুনিয়া এলাকায় একটি রাবার বাগান থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ।
নিহত মঞ্জুর আলম কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের উত্তর থোয়াঙ্গাকাটা গ্রামের বাসিন্দা মো. আমির হামজার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে মঞ্জুর আলম বাড়ি থেকে বাগানে কাজের উদ্দেশ্যে বের হন। তবে সেদিন আর তিনি ফেরেননি। পরদিন সকালে আবু বক্করের রাবার বাগানে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই অঞ্জনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে।
স্থানীয়রা জানান, মঞ্জুর আলম বিবাহিত হলেও অন্য এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। ওই নারীর পরিবার আদালতের মাধ্যমে বিয়ের দাবি জানিয়ে নোটিশ পাঠালে তিনি মানসিক চাপে পড়েন। ধারণা করা হচ্ছে, সামাজিক চাপ ও মান-সম্মানের ভয়ে তিনি বাজার থেকে “জিরো হার্ব” নামের কীটনাশক ওষুধ সেবনের পর গলায় ফাঁস দেন।
এ ঘটনার বিষয়ে বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই অঞ্জন বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
এদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসরুরুল হক এ প্রতিবেদককে বলেন, “ভিকটিমের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”