

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ বৈঠক শেষে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু গণভোটের সময় নির্ধারণ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে তিনি এ বিষয়ে রেফারি বা থার্ড আম্পায়ার হিসেবে কমিশনকে দ্রুত একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, গণভোটের মতো মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্য থাকলেও তা কখন অনুষ্ঠিত হবে, সাধারণ নির্বাচনের একই দিনে নাকি আগে, এই নিয়ে দলগুলোর মধ্যে ‘সিরিয়াস ভিন্নমত’ দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মৌলিক জায়গায় তো আমাদের দ্বিমতটা নাই। অর্থাৎ আমরা একমত হয়েছি, মাঠে আমরা খেলবো। এখন খেলাটা তিনটায় খেলব না পাঁচটায় খেলবো। এটা হচ্ছে পার্থক্য।’
মঞ্জু বলেন, বিএনপি, জামায়াত এবং এনসিপিকে সরকারের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে তাদের জাতিসংঘের সফরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা দেখছি, এই উপায়ে কিছু কিছু শক্তি বা ব্যক্তি আছেন তারা আসলে বিভেদ চায়, অনৈক্য চায় এবং একটা হাঙ্গামা বিপর্যয় চায়। দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে যে আমাদের এই ইগো সংকটের কারণে মনে হচ্ছে যে পরোক্ষভাবে আমরা ওই সীমান্তের ওপারের ইচ্ছাটাকেই প্রাধান্য দিচ্ছি।’
এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, গণভোট ছাড়াও ‘জুলাই সনদ’ এর আইনি ভিত্তি তা ‘সংবিধান আদেশ’ হবে নাকি ‘অধ্যাদেশ’ হবে বা ‘জুলাই সনদের আদেশ’ হবে এই নিয়েও অহেতুক বিরোধ তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি দ্রুত ‘সংবিধান আদেশ’ অথবা ‘জুলাই সনদের আদেশ’ এর মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করার ওপর জোর দেন।
গণভোটের সময় প্রসঙ্গে নিজের দলের অবস্থান পরিষ্কার করে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, শুরুতে আমরা সাধারণ নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোট অনুষ্ঠানের প্রস্তাবে আপত্তি না করলেও, এখন যেহেতু এই নিয়ে ভিন্নমত এসেছে এবং যুক্তি রয়েছে, তাই আমরা এই বিষয়ে নমনীয় নীতিতে যাব। কারণ এটা নিয়ে বিতর্ক তুলে টোটাল প্রসেসটাকে আমরা প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাই না।
মঞ্জু বলেন, গণভোট হচ্ছে ‘থার্ড আম্পায়ার’। জনগণের অভিপ্রায়কে মেনে নিলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ রয়েছে, জনগণই তাকে প্রত্যাখ্যান করবে।
তিনি বলেন, এনাফ আলোচনা হয়েছে, এনাফ মতামত আমরা নিয়েছি আপনারা এটা যেভাবে হোক একটা সমাধান দিয়ে দেন। মানুষ এটাকে সাপোর্ট করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।