

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থী পরিবহনকারী বাসের চালক কচি শেখকে মারধরের ঘটনায় সোহেল নামের একজন সিএনজি চালককে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে আটটার দিকে কুমিল্লা শহরের পূবালী ব্যাংকের সামনে থেকে অভিযুক্ত সোহেলকে আটক করে পুলিশ।
জানা যায়, আনুমানিক রাত ৮ টার দিকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনকারী বাস পূবালী ব্যাংকের সামনে আসলে যানজটে আটকে যায়। সেখানে অবৈধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা সিএনজি অনেকক্ষণ হর্ন দেওয়ার পরও না সরলে বাসের হেল্পারের সাথে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয় সিএনজি চালকের। একপর্যায়ে সিএনজি চালক মারতে উদ্ধত হলে বাস চালক কচি শেখ নেমে প্রতিহত করতে গেলে হাতাহাতি শুরু হয়। এরমধ্যে সিএনজি চালক সিএনজিতে থাকা কাঠ নিয়ে বাস চালকের মাথায় আঘাত করে। এতে বাস চালক কচি শেখের মাথা ফেটে যায়।
পরবর্তীতে আহত কচি শেখকে কুমিল্লা সদর হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সিএনজি চালককে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহণ পুলের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের চালক সহজ সরল নরম প্রকৃতির একজন মানুষ। বাস জ্যামের মধ্যে পড়লে সিএনজি চালক ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করলে আমাদের চালক নেমে প্রতিহত করতে গেলে তার মাথায় আঘাত করে। এর ফলে সে বাজেভাবে আহত হয়েছে। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চালক বাদি হয়ে হয়ত মামলা করবে এবং প্রশাসন হয়ত বাদি হয়ে তার পক্ষে মামলা চালাবে। প্রক্টর স্যারও ছিল, আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সাইফুল মালিক বলেন, ‘আমরা সিএনজি চালককে আটক করেছি। আইনের মাধ্যমে তাকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’