রবিবার , ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সারাদেশ

সাতকানিয়ায় নিখোঁজের ৩৮ ঘণ্টা পর খাল থেকে মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার

 

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় নিখোঁজের ৩৮ ঘণ্টা পর খাল থেকে মাদ্রাসা ছাত্রের ভাসমান এক লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম ইয়াছিন আরাফাত (১৩)। আজ শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সাতকানিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চরপাড়া এলাকায় ইছামতি খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

ইয়াছিন আরাফাত সাতকানিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চরপাড়া এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে। সে সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদ কার্যালয় সংলগ্ন বেসরকারি (প্রাইভেট) খালিদ বিন ওয়ালিদ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিল।

পুলিশ, ওই মাদ্রাসা ছাত্রের স্বজন ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে ইয়াছিন আরাফাত মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে গিয়ে নিখোঁজ ছিল। পরিবার ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও ছাত্রটির কোনো খোঁজ পায়নি। আজ শনিবার সকাল সাতটার দিকে স্থানীয় লোকজন সাতকানিয়া পৌরসভার চরপাড়া এলাকায় ইছামতি খালের কসাইপাড়া ব্রিজের নিচে একটি লাশ অসমান অবস্থায় আটকে থাকতে দেখেন। পরে বিষয়টি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে বেলা ১১ টার দিকে সাতকানিয়া থানা-পুলিশের একটি দল স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করেন। সেখানেই পরিবারের সদস্যরা লাশটি মাদ্রাসার ছাত্র ইয়াসিন আরাফাতের বলে শনাক্ত করেছেন।

ইয়াছিন আরাফাতের চাচা মোঃ মহিউদ্দিন মিন্টু বলেন, আমার ভাইয়ের পরিবার ঢাকায় বসবাস করতো। মাসখানেক আগে তাঁরা গ্রামের বাড়িতে চলে আসে। এরপর ১০-১২ দিন আগে ছেলে ইয়াছিন আরাফাতকে খালিদ বিন ওয়ালিদ মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে ভর্তি করে দেন। ভর্তি করানোর পর কয়েকদিন আগে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। পরে খোঁজে বের করে আবারও মাদ্রাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে আবারও মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও ছেলেটিকে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে খালের পানিতে ঝাঁপ দিয়েছিল সে। সাঁতার না জানার কারণে ডুবে মারা গেছে।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জাহেদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে খাল থেকে মাদ্রাসা ছাত্রের ভাসমান লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে আপাতত কোনো অভিযোগ নেই। তারপরও ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর ছাত্রটির মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।


সম্পর্কিত খবর