সানফ্লাওয়ার প্রি-ক্যাডেট স্কুলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালিত

নগরীর সদরঘাটস্থ সানফ্লাওয়ার প্রি-ক্যাডেট স্কুলে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও যথাযােগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালিত হয়েছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্তরিক সহযােগিতা ও শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে দিবসটি স্বকীয় মহিমায় উজ্জ্বল হয়ে উঠে। সকাল ৮.৩০ মিনিটে প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে প্রভাতফেরির মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকমণ্ডলী উপস্থিত হওয়ার পর নগ্ন পায়ে শােভাযাত্রা শুরু হয়। এ সময় সবার বুকেই কালাে ব্যাজ শােভা পাচ্ছিল। বিদ্যালয়ের পাশে স্থাপিত শহিদ মিনারের উদ্দেশে যাত্রাকালে সকলের কণ্ঠে ধ্বনিত হয়- ‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙানাে একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি?’ এ সময় এক ভাবগম্ভীর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। প্রভাতফেরিটি শহিদ মিনারের পাদদেশে উপনীত হলে সর্বপ্রথম বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, এরপর শিক্ষকমণ্ডলী এবং সবশেষে শিক্ষার্থীরা একে একে বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মােনাজাত করা হয়।

পূর্বে নির্ধারিত সকাল ৯.৩০ মিনিটে বিদ্যালয় মিলনায়তনে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে হাতের লিখা ও ড্রয়িং প্রতিযোগিতায় স্কুল শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

স্কুল প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বাপ্পা ধর এর সভাপতিত্বে, লেখক রনি নাগ মুন্নার সঞ্চালনায়, আলােচনা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিত্র বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান লায়ন মোহাম্মদ আইয়ুব। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অবিভাবক, শাহেদুর রহমান শাহেদ সহ সকল শিক্ষক ও শিক্ষিকা বিন্দু।

আলােচনা সভায় বক্তারা বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের সূত্র ধরেই পরবর্তীতে বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন ও উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ঘটে। এরই ফলশ্রুতিতে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র লাভ করতে সক্ষম হই।

আলােচনা পর্ব শেষে অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিযোগিদের মাঝে প্রধান অতিথি পুরস্কার বিতরণ করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের নৈপুণ্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

মতামত দিন